দাঙ্গা বিদ্ধস্ত দিল্লী
ঘটনার তিনদিনের মাথায়
মৃত ২৩ জন। আহত ১৮০ হন। সরকারি তথ্যমাত্র। প্রকৃত অবস্থা এখনো পরিস্কার নয়। ক্ষয়ক্ষতির
পরিমাণ কল্পনার অতীত। না, ঘটনা হঠাৎ করে ঘটে নি। খুব ভালো করে পরিকল্পনা করেই ঘটানো
হয়েছে। ঘটানো হয়েছে কেন, সেটি ঘটনা পরম্পরা ভালো করে পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে। বাস্তবে
অনভিপ্রেত, বিশেষ করে হিংসাত্মক ঘটনাগুলির পর, যে পক্ষ অধিকত সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছিয়ে
যায়, যে পক্ষের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়, বুঝতে হবে ঘটনার পিছনে মূল পরিকল্পনায় তাদেরই
মদত থাকা স্বাভাবিক। এমনটাই সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে দেশে বিদেশে। সে গুজরাট দাঙ্গাই
হোক। গোধরা কাণ্ডই হোক। টুইন টাওয়ার ধ্বংসই হোক। পুলওয়ামার মৃত্যু মিছিলই হোক্, দেখতে
হবে প্রতিটি ঘটনার ফলে কোন পক্ষের স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হয়েছে। কোন পক্ষের রাজনৈতিক
শক্তি দ্রুততর বিস্তৃত ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তখন আর এটা বোঝা দুঃসাধ্য হবে না, মূল
ঘটনাগুলি কাদের স্বার্থে ঘটানো হয়েছিল। প্রতিটি ঘটনা পরিকল্পিত ভাবে ঘটনোর পিছনে কিছু
স্বার্থ জড়িত থাকে। ঘটনার অব্যবহিত পরেই যে সেটি সবসময় পরিস্কার ধরা পড়ে তা নাও হতে
পারে। কিন্তু সময়ের সাথে, ঘটনার ফলে কোন পক্ষ অধিকতর সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছিয়ে যায়,
সেটি বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তখন কোন রহস্যই আর রহস্য থাকে না।